মোঃ সামাউন হোসেন সৈকত ,আইন বিভাগ, জবিঃ
আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ নয়টি মাস পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম৷ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, দুই লক্ষ মা বোনের সম্মানের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সাল মধ্য রাতে পাকিস্তানি নরপিশাচরা আমাদের নিরীহ মানুষদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছিলো। ঝাপিয়ে পড়ছিলো মা বোনদের সম্মানের উপর। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, কর্মকত্তা কর্মজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, প্রকোশলী সকল পর্যায়ের মানুষেরা নেমে আসছিলো সেই পাকিস্তানের নরপিশাচদের এদেশ থেকে হটানোর জন্য। তাদের হাত থেকে এদেশের মানুষদেরকে এবং মা বোনদের সম্মান রক্ষা করার জন্য।
মুক্তিযোদ্ধারা তারা তাদের জীবন, আত্মীয়স্বজন, সহায় সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছিলেন। তাদের আত্মাত্যাগীয় ছিলো অতুলনীয়। যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও চেতনাকে লালন করে মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ছিলেন – গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের অবদান কখনোই ভুলে যাওয়ার নয়। তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। বাঙ্গালি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তাদের স্মরণ করে যাবে। তাঁরা শহীদ হয়েও এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে চিরকাল। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছিলেন যে মহান মুক্তিযোদ্ধারা এবং যারা শহীদ হয়েছিলেন। তাঁদের স্মরণে বাঙ্গালি সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে ।